১৯৬৩ সালের ২৮ অগ্রহায়ন তারিখে বর্তমান পৃথিবীর অমানিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত সৃষ্টিকুলকে সুবেহ সাদিকের নতুন আলোতে উদ্বাসিত করতে এক মহাপূর্নবান শিশু ধরায় আগমন করে যিনি খোদা প্রেমিক আতায়ে রাসুল অলিকুল শীরমনি কামালিয়াত ও বেলায়েতের সম্রাট ১৪ শতকের মোজাদ্দেদ হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রহঃ) এর যোগ্য উত্তরসূরী। তথা সুরেশ্বরী ত্বরিকার এগিয়ে যাবার আলোকবর্তিকা । আলম শাহ্ নামেই তিনি জগতে বেশি পরিচিত হয়ে উঠেন। তাঁর নামের মধ্যেই তার পরিচয় প্রকাশ পায় “আলম শাহ” অর্থাৎ যগতের বাদশা।
আশেক মুরিদ ও সাধারণ মানুষ তাঁর সংস্পর্শে এলেই তাঁর রুহানিয়াত প্রভাব ও ফায়েজে বিগলিত হয়ে খোদা প্রেমের এশকে ভিষনভাবে আর্কষিত হয় এবং অন্তরে এক স্বর্গিও ভাব সৃষ্টি হয়ে সারা দেহে প্রবাহিত হয় যা মনকে বিমল করে তোলে।
মাত্র ১৬ বৎসর বয়স হতেই বাবা সুরেশ্বরীর খাস নেসবত ও নির্দেশে ধর্মিও অন্ধত্বতা গোড়ামি কুসংস্কর বদ আকিদা দুর করে প্রেম ভালবাসা ফায়েজে মানব অন্তরে খোদা প্রেম ও আধ্যাত্মিকতা প্রতিষ্ঠা করার কাজে আত্ননিয়োগ করেন। 
তাঁর আধ্যাত্মিক অবস্থান ব্যাখ্য করা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়। সৃষ্টিকর্তা রাব্বুল আলামিনই ভাল জানেন। তাঁর সংস্পর্শে একধরনের ঐশি স্বাদ অনুভব হয়। তাই তার রুহানিয়াত শক্তি ও ফায়েজে অস্থির হয়ে দিক বেদিক চিন্তা না করে মুরিদ শির্ষরা তাঁর দরবারে উপস্থিত হয়। তাঁর আধ্যাত্মিক আকর্ষন ও ভালবাসায় জাতী ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকলে তাঁর আশেকে পরিনত হয়।
তিঁনি তার আশেক মুরিদ ভক্তদেরকে সার্বক্ষনিক ইবাদত তথা খোদাপ্রেমে ফানা হওয়ার নির্দেশ দেন। ইবাদতে ধারাবহিকতা কঠোর রিয়াজত ও দৌহিক ইবাদতকে তিঁনি বেশি গুরুত্ব প্রদান করেন। 
মহান সৃষ্টিকর্তার দয়ায় তার পেয়ারে হাবিব আহম্মদ মুজতবা মোহাম্মদ মোস্তফা হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর আধ্যাত্মিক ও রুহানিয়াত ছত্রছায়ায় বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) খাজায়ে খাজেগাঁ গরিবে নেয়াজ হযরত খাজা ময়নুদ্দিন চিশতী আজমেরী (রহঃ) হযরত মোজাদ্দেদ আল ফেসানী সেরহিন্দী (রহঃ) মোজাদ্দেদীয়া সিলসিলার সকল অলি আউলিয়া সহ হযরত বাহাউদ্দিন নকশে বন্দি (রহঃ) হযরত জালাল উদ্দিন রুমি (রহঃ) শেখ ফরিদ উদ্দিন আত্তার (রহঃ) হযরত বুআলী শাহ্ কলন্দর (রহঃ) হযরত শামছে তাবরেজ (রহঃ) এর রুহানী আশির্বাদ হযরত খিজির (আঃ) এর ইলমে লাদুনী সর্বশেষে রাসুলে নোমা হযরত মাওলানা শাহ সূফী ফতেহ আলী হয়াইসী (রহঃ) ও হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রহঃ) এর আধ্যাত্মিক ও বিলায়েত কতৃক নেসবত প্রাপ্ত হয়ে খোদা প্রেমের তীর্থভূমি আশেকের প্রান ভোমরা ক্বেবলায় দ্বীল মদিনা আলার স্বর্গের প্রতিচ্ছবি তাছাউফ সাগরের জননী সুরেশ্বর দরবার শরীফের অন্যতম গদীনশীন মোন্তাজিমে পীর ক্বেবলা হিসাবে অভিসিক্ত হন। 
বংশধারা : মহান সৃষ্টিকর্তা বাবা আলম নূরী কে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ অলিয়ে কামেল সাইয়েদুল আরেফীন, ফাকরুশ্ সায়েখীন, কুতুবুল এরশাদ, গাউসুল আজম, পীরানে পীর দস্তগীর বাংলার অলিকূল শীরমনি হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী আহম্মদ আলী ওরফে বাবা জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী কেবলা ক্বাবা (রঃ) এর পবিত্র বংশে প্রেরন করেন। বাবা জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী কেবলা ক্বাবা (রঃ) ছিলেন জামানার মোজাদ্দেদ। তাঁর লক্ষ কোটি মুরিদান তাঁর বাতেনী ইশারায় দিনাতিপাত করেন। 
তিনি তাঁর পীর ক্বিবলা হযরত শাহ্ সূফী সাইয়েদ ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ) এর প্রতি ভক্তি, খেদমত ও মহব্বত দ্বারা করুণা প্রাপ্ত হয়ে অতিশয় দ্রুত মারেফত জগতের উচ্চ মঞ্জেল ও মর্তবাসমূহ অতিক্রম করে গাউছিয়াত ও কুতুবিয়াতে এরশাদ মোকামের অধিকারী হয়েছিলেন। 
বাবা জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী কেবলা ক্বাবা (রঃ) এর সংগৃহিত পবিত্র গায়েবী, অলৌকিক তাৎপর্য মহিমামন্ডিত আধ্যাত্মিক ফায়েজ সম্পন্ন “আশা-মোবারক” পাঁচটির মধ্যে স্বর্ণ মুকুট পরিশোভিত সর্ববৃহৎ আশা-টি বিশ্বনবী হযরত রাসূলে করিম (সাঃ), দ্বিতীয় আশা-টি হযরত মুসা (আঃ), তৃতীয় আশা-টি হযরত বড় পীর সাহেব (রহঃ) চতুর্থ আশা-টি হযরত খাজা বাবা গরীব নেওয়াজ (রহঃ) এবং পঞ্চম আশা-টি হযরত মোজাদ্দেদ আল-ফেসানী (রহঃ) এর সাথে রুহানিয়াত সম্পর্ক যুক্ত। 
হযরত সুরেশ্বরী ক্বিবলা (রহঃ) এর প্রতিষ্ঠিত “দ্বায়রায়ে আহমদিয়া” নামের দ্বায়রা শরীফটি অভ্যন্তরে একটি কোঠায় পাঁচটি আসন সংরক্ষিত আছে। এ পাঁচটি আসনের মধ্যে একটি বাদশাহী বৃহদাকার আসন রয়েছে যা সর্ব শ্রেষ্ঠ ও সর্ব শেষ নবী হযরত রাসূলে করিম হযরত মোহাম্মদ (সাঃ), হযরত মূসা (আঃ), হযরত ঈশা (আঃ) এবং হযরত দাউদ (আঃ) এর রূহানীর সাথে সম্পর্কিত। আর বাকী চারটি আসন হযরত বড় পীর গাউছেল আযম মাহবুবে সুবহানী শায়েখ্ আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজায়ে খাজেগাঁ ময়নুদ্দীন চিশতী (রহঃ) হযরত শেখ আহ্ম্মদ সেরহিন্দী ইমামে রাব্বানী মোজদ্দেদে আল-ফেছানী (রহঃ) হযরত সুলতানে বেলায়েত বাবা শাহ্ জালালউদ্দিন ইয়ামানী (রহঃ) হযরত শাহ্ বদীউদ্দিন মাদার (রহঃ) হযরত শাহ্ বু-আলী কলন্দর পানিপথি (রহঃ) ও পাঞ্জেতন পাকের সাথে হুজরা শরীফের সাথে রূহানী সম্পর্ক বিদ্যমান।

বাবা সুরেশ্বরীর সংগৃহিত আধ্যাত্মিক পাথর মোবারকের কথা কারনা জানা। হযরত সুরেশ্বরী (রহঃ) দু’টি অতিশয় ক্ষুদ্র পাথর হয়রত শাহ্ আরেফীন (রহঃ) এর মাজার শরীফ হতে আনয়ন করে। উল্লেখ্য যে ক্ষুদ্রকায় পাথর দু’টি ক্রমশঃ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বৃহদাকার ধারণ করেছে। যা বর্তমানে বাবা সুরেশ্বরীর রওজা মোবারকের সামনে স্থাপন করা রয়েছে। 


বাবা সুরেশ্বরী (রহঃ) অত্যন্ত যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে কোলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা হতে তাঁর উচ্চতর শিক্ষা শেষ করে সেখানেই হেড মোদাচ্ছের হিসাবে পাঠ দান করেন। হযরত সুরেশ্বরী ক্বিবলা বাংলা এবং উর্দ্ধু ভাষায় মোট ১৩ খানা কিতাব রচনা করেছেন। তাঁর যোগ্যতা ও দক্ষতার কারনে ইংরেজরা তাকে “ছামস্ উল ওলামা” উপাধীতে ভুষিত করেন। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে সুরেশ্বরী ত্বরিকা আজ বাংলার জমিনে তথা উপমহাদেশে শ্রেষ্ঠ ত্বরিকা হিসাবে অবিহিত। বাংলা ১৩২৬ সনের ২রা অগ্রহায়ন সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে ৬৩ বৎসর বয়সে এ মহান আউলীয়া চৌদ্দ শতকের মোজাদ্দেদ গাউছে আলম কুতুবুল এরশাদ বেলায়েতে নূরেছুদুর ক্বেবলায়ে বরহক্ব হযরত জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রহঃ) লক্ষ কোটি ভক্ত মুরিদান রেখে বেছালে হক্ব প্রাপ্ত হন। 


বাবা সুরেশ্বরীর বেছালে হক্ব প্রাপ্তির পর তাঁর জীবিত একমাত্র পুত্র মুরিদ ও খলিফা হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী নূরী শাহ্ (রহঃ) জাহেরে বাতেনে যোগ্যতা ও দক্ষতা সাথে তথা সুরেশ্বরীর বাতেনী নির্দেশে ত্বরিকার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেন। তিঁনি কোলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা হতে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। উর্দ্দূ আরবি ও ফার্সি ভাষার উপর তার অগাধ দখল ছিল। বাবা হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী নূরী শাহ্ (রহঃ) এর বেছাল হক্ব যাত্রার ১ বৎসর পূর্বে ১৯৬০ সালের ২০ শে মাঘ পবিত্র উরস দিবসে অসংখ্য ভক্ত মুরিদান পরিবেষ্টিত তাঁর জেষ্ঠ পুত্র আশেক মুরিদ বাবা হযরত শাহ্ সূফী জালাল নূরী (রহঃ) কে বাবা শাহ্ সূফী নূরী শাহ্ (রহঃ) এর আধ্যাত্মিক বাতেনী বন্টনকারী ও দরবারের গদীনশীন ঘোষনা করে তাঁর মাথায় শীরস্তান পরিয়ে দেন। 
পিতা মাতা : বাবা আলম নূরীর পিতা বাবা হযরত শাহ্ সূফী জালাল নূরী (রহঃ) ছিলেন যগৎ শ্রেষ্ঠ অলিয়ে মোকাম্মেল সামছুল আরেফিন রফিকুচ্ছালেকীন লক্ষ আশেকের পথের দিশারী। যিনি ছিলেন একাধারে কবি ও লেখক। যার বাশির সুরে ভাবুক মনে মন ভোমরা চরম ইশকে উদ্বেলিত হত। যিনি প্রকৃত ইসলাম তথা আহলে বাইয়াতের সঠিক ও সত্য পথকে বাংলার জমিনে এগিয়ে নিয়ে লক্ষ আশেকের প্রানের স্পন্দনে মিশে আছে। আজও তাঁর লক্ষ লক্ষ আশেক মুরিদ জালাল নামের উছিলাকে সম্বল করে খোদার দরবার হতে তাদের মনের বাসনাকে পূর্নতা দান করে। তিঁনি পবিত্র হজ্ব ব্রত পালন করে মদিনায়ালা হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর রুহানীয়াত সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন (সুবাহানাল্লাহ্)। স্বয়ং বাবা সুরেশ্বরী (রহঃ) তাঁর নাম দেন জালাল এবং তাঁর কামালিয়াত ও বেলায়েত সম্পর্কে ভবিষ্যতবানী করে যান। আশেকে রাসুল বাবা জালাল নুরী (রহঃ) “যিয়ারতে মদিনা” নামক জীবন কাব্য রচনা করেন। বাবা আলম নূরী আল সুরেশ্বরীর মাতা সুরাইয়া বেগম অতিশয় পবিত্র ধর্মপরায়ন ও গুনবতি মহিলা। জমিদার বংশে জন্ম নেওয়া এই মহিয়শি রমনীর সহধর্মীনি যেমন যুগশ্রেষ্ঠ অলি তেমনি তাঁর গর্ভে ধারন করেন মানব কূলের মুক্তির দিশারী অলি কূল সম্রাট বাবা আলম নূরী আল সুরেশ্বরী কে (মাঃজা:আঃ) কে। বাবা আলম নূরী তার মাতৃগর্ভে থাকাকালীন তাঁর মাতা স্বপ্নে বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের অলি আউলিয়া মারফত জানতে পায়েছিলেন তাঁর গর্ভস্ত সন্তান হবে সুরেশ্বরীর যোগ্য আশেক ও উত্তরসূরী। যার যোগ্য নেতৃত্বে সুরেশ্বরী ত্বরিকার ব্যাপক উন্নয়ন সংগঠিত হবে।


ছেলে বেলাঃ 
বাবা শাহ্ সূফী সাইয়েদ আলম নূরী ছেলে বেলা হইতেই বাবা জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রহঃ) এর অত্যন্ত আশেক এবং প্রেমিক হওয়ায় তিনি হযরত সুরেশ্বরী ক্বিবলা কা’বার (রহঃ) রূহানীয়াত ও বেলায়েত কর্তৃক অভিসিক্ত হন। তাই বাবা সুরেশ্বরী (রহঃ) বাবা আলম নূরীকে জন্মের পর থেকে তাঁর বিশেষ নজরে গড়ে তোলেন। তিনি জন্মগত ভাবেই আল্লাহর অলি। কনিষ্ঠ পুত্র হওয়ার সুবাদে বাবা আলম নূরীকে বাবা জালাল নূরী অত্যাধিক স্নেহ ও মহব্বত করিতেন। বাবা সুরেশ্বরী (রহঃ) বাবা জালাল নূরী (রহঃ) কে তাঁর যোগ্য উত্তরাধীকারী বাবা আলম নূরী কে সুরেশ্বরী ত্বরিকার যোগ্য দক্ষ নেতৃত্ব দানকারী আলোকবর্তিকা হিসাবে গড়ে তোলার জন্য সার্বক্ষনিক নির্দেশনা দান করতেন। শিশু কাল থেকে তিনি ছিলেন অসাধারণ চরিত্রের অধিকারী। খোদা প্রেম বাল্য কালেই তিঁনার মধ্যে বার বার প্রকাশিত হয়। তিঁনি সর্বদাই যিকির ও সামা করে সময় কাটান ।


তিঁনি যিকিরে এলাহিতে মসগুল হয়ে জগৎ ছেড়ে সৃষ্টিকর্তার স্বরনে হারিয়ে যান বা ফানা হন। শাহ্ সূফী আলম নূরী (মাঃজাঃআঃ) পিতা কুতুবুল এরশাদ শাহ্ সূফী জালাল নূরী (রহঃ) এর নিকট বাল্য কালেই বায়াত লাভ করেন। বাবা জালাল নূরী (রহঃ) তাঁর দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালনের নিমিত্তে আধ্যাত্মিক বা ত্বরিকত সফরে বাবা আলম নূরীকে সঙ্গে নিতেন। যেহেতু বাবা জালাল নূরী (রহঃ) ত্বরিকৎ প্রচারে ব্যস্ত থাকতেন তাই মায়ের কাছেই বাবা আলম নূরী শিশুকাল অতিবাহিত করেন। তাঁর মাতার তত্ত্বাবধানেই তাঁর লেখা পড়া শুরু হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় যোগ্য ও দক্ষ উচু মানের শিক্ষিত আলেমদের কাছে শরিয়ত ও জাহেরী বিষয়ে জ্ঞানার্জন শুরু হয়। তিঁনি অল্প সময়েই ইসলামের বিভিন্ন মৌলিক শ্রাস্ত্রে জ্ঞান লাভ করে উত্তরাত্তর অধিক শাস্ত্রিয় ও জাহেরী জ্ঞানে উন্নতি সাধন করেন। এভাবেই যোগ্য ও দক্ষ জাহেরী শিক্ষক সংস্পর্শে তার জাহেরী শরিয়ত ও ফিকাহ শাস্ত্রের জ্ঞান ভান্ডার পরিনত হতে থাকে। বাবা আলম নূরীর জীবন আর দশজন শিশুর মতন গড়ে উঠেনি। ছোট বেলা হতেই তিনি কি এক অদৃশ্য ইশারায় আধ্যাত্মিক টানে হইহুল্লর পরিবেশ হতে একটু দুরে আলাদা একাকী আধ্যাত্মিক ভাব সাগরে ডুবে থাকতেন। আর এভাবেই স্কুলের গন্ডি পেরুবার পূর্বেই বাবা আলম নরীর আশেক মুরিদ ও ভক্তদের নিয়ে একটি আলাদা জগৎ তৈরী হল। যেখানে নেই কোন বন্ধু বা খেলার সাথী সকলে তাঁর আধ্যাত্মিক বেলায়েত সম্পর্কে অনুধাবন করেতে পেরে রুহানীয়াত আশীর্বাদ হাসিলের জন্য তাঁর সঙ্গি হল। যৌবনের শুরুতেই মাত্র ১৬ বৎসর বয়স হতে হযরত সুরেশ্বরী ক্বিবলা কা’বা (রহ) এর বাতেনী নির্দেশ খাছ নেছবতে নির্দেশিত পদাঙ্ক অনুসরন করে নিজেকে ত্বরিকতের খেদমতে নিয়োজিত রেখে ত্বরিকার প্রচার এবং প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন। আর তখন থেকেই ভক্তদের ত্বরিকত তথা বায়াত প্রদান শুরু করেন। মিষ্টি ভাষি বাবা আলম নূরী অতি সহজেই মানুষের মন বুঝতে পারেন এবং যত কঠিন মনের মানুষই হোক না কেন তাদের মনকে গলিয়ে আপন করে নিতে পারেন। সর্বাদাই মুরিদ ও ভক্তদের নিয়ে ত্বরিকার পথে কঠিন আধ্যাত্মিক সাধনায় ব্যস্ত থাকে। সর্বক্ষন ভক্তদের ব্যথায় ব্যাথিত তাদের সুখ শান্তি ও ইহপরকালীন চিন্তাই দিনাতিপাত করেন। মানব প্রেম ও হৃদয় নিংরানো ভালবাসা মহব্বত যেন তার মনের মুকুরে কন্টকের মত বিধে আছে। তিঁনি বর্তমানে মহান সুরেশ্বর দরবার শরীফের অন্যতম মোন্তাজেম গদীনশীন থেকে অত্যান্ত যোগ্যতা দক্ষতা প্রেম ও ধর্যের সাথে ত্বরিকাকে সুউচ্চ স্থানে পৌছে দিয়েছেন। তিনি সুরেশ্বর দরবার শরীফের অন্যতম মোন্তাজিম ও গদীনেশীন মুর্শিদ ক্বিবলা। বর্তমানে তিঁনার কয়েক লক্ষ মুরিদান সাড়া দেশে ছড়িয়ে আছে।

বাবা আলম নূরী ত্বরিকৎ প্রচারে ব্যস্ত থাকলেও জাহেরী লেখাপড়া থেকে বিমুখ থাকেননি। তিনি দেশের প্রখ্যাত জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে জাহেরে বাতেনে সমান ভাবে পারদর্শিতা প্রমান করেন।

বাবা আলম নূরী সর্বদা কঠোর ইবাদত রেয়াজত বা কৃচ্ছতা সাধনের মাধ্যমে অতিবাহিত করেন। তাঁর কঠোর আধ্যাত্মিক সাধনার কথা বলে শেষ সম্ভব নয়। তবে, এ কথা সূর্যলোকের মত সত্য যে, এ অলিয়ে কামেল খোদাপ্রেমিক স্রষ্ঠার নিগুঢ় রহস্যময় আধ্যাত্মিক সাগরের ডুবুরী। তিনি তাঁর রুহানী ক্ষমতা দিয়ে তাঁর আশেক ভক্তদের কলবের কালিমা মুছে সেখানে ইস্কে এলাহির আগুন প্রজ্জ্বলিত করে মৃত

দীলকে ইলমে লাদুনির প্রকৃত ছোয়ার তথা নূরী মোহাম্মদী আলোতে আলোকিত করেন। তাঁর নির্দেশে আশেক মুরিদরা সৃষ্টির সেবায় আত্ননিয়োগ করে স্রষ্টার প্রকৃত শিক্ষায় আদর্শবান হন। তাঁর দিক্ষায় খোদা প্রেম এবং জিকিরে এলাহির ফায়েজে মুরিদানরা তাদের মৃত হৃদয়কে সজিব করে ফানাফিল্লার স্তরে পৌছার পথ পায়।

ওমরা পালন : সকল প্রশংসা একক আল্লাহর জন্যই আর তার পেয়ারে হাবিব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর শত কোটি দরুদ ও সালাম। আমরা পবিত্র কোরানে জেনেছি সকল সৃষ্টির শ্রষ্টা জগতের মালিক ও প্রতি পালনকারী আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন স্বয়ং তাঁর পেয়ারে হাবিব সৃষ্টি জগতের প্রথম সৃষ্টি যাকে সৃষ্টি না করলে এ জগৎ সৃষ্টি হতোনা সেই নূরে আজম আহম্মদ মুজতবা মুহাম্মদ মোস্তফা হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর উপর দরুদ পেশ করেন। সার্বক্ষনিক তাঁর ভালবাসা চিন্তা ও ধ্যানে অস্থির থাকেন। যার উপর সকল সৃষ্টি সালাম জানাচ্ছে। সেই বেলায়েত সম্রাট ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর স্মরনে সাথে বাবা আলম নূরী আল সুরেশ্বরীর সর্বসময় ধ্যানমগ্ন হলেও জাহেরী জিয়ারত তথা প্রিয় নবীর রওজা মোবারক এক নজর দেখার জন্য আধ্যাত্মিক তাগিদ অনুভব করেন । তারই ধারাবহিকতায় বাবা আলম নূরী তাঁর আশেক ও ভক্তদের নিয়ে পবিত্র ওমরা মোবারক সম্পন্ন করে সরদারে দো-আলম নবিয়ে দোজাহা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর রওজায় উপস্থিত হন। সাধারনের রওজা মোবরক জেয়ারত আর অলিদের জেয়ারতের মধ্যে ব্যপক তারতম্য বিদ্যমান। অলি নবী গাউস কুতুবরা জেয়ারতে গিয়ে বেছালহক্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তির সাথে রুহানী সম্পর্ক স্থাপন করে তাদের মনের ভাব বিনিময় করেন।বাবা আলম নূরীও দোজাহানের বাদশা হুজুরপুর নূর (সাঃ) এর জিয়ারতে হাজিরি পেম করে রুহানিয়াত ফায়েজ ও ইশক লাভ করেন।

সংগীত সাধনঃ

কি কব সুরের গুণ সুর সুমধুর। সুরে বিমোহিত সর্ব আলম প্রচুর ॥
যথা তথা হেরি এই সুর বিনা নাই। সুরেই জগৎ মোহ মোহ যে কানাই ॥


বাবা সুরেশ্বরীর এই কথা গুলোই বাবা আলম নূরী তাঁর পূর্ন জীবনে বাস্তবরুপ দেওয়ার চেষ্টায় রত। বাবা সুরেশ্বরীর মত বাবা আলম নূরীও কানাইকে রাজি খুশি মোহিত করার জন্য হযরত দাউদ (আঃ) বাবা খাঁজায়ে খাঁজেগাঁ গরিবে নেওয়াজ হযরত ময়নুদ্দিন চিশতী আজমেরী (রহঃ) হযরত নিজাম উদ্দিন আউলিয়া (রহঃ) হযরত জুন্নুন মিসরী (রহঃ) হযরত আমির খসরু (রহঃ) ও ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) এর পথ ধরে শ্রাস্ত্রিয় সংগিত তথা দরবারী সামার মাধ্যমে ভক্ত আশেক মুরিদদের কঠিন অন্তরকে বিগলীত করে নূরী ফায়েজ ও আধ্যাত্মিক পরশে হৃদকে বিমল করার প্রয়াশে রত। বাবা আলম নূরী সু কন্ঠের আধিকারী। সংগিত পিপাসু বাবা আলম নূরী ক্বেবলা ১০ টা ঠাট ও ১০ টা রাগ রাগিনি আয়ত্ব করেছেন। তিনি উচ্চঙ্গ সংগিতের উপর বিশেষ পারদর্শি। তাঁর কন্ঠে কালাম সায়েরী শুনে আবাল বৃদ্ধ বনিতারা মুগ্ধ হন। অন্যান্য অলি আউলিয়াদের মত বাবা আলম নূরীও আধ্যাত্মিক সুর ও সামার মাধ্যমে বদ আকিদা ও কুসংস্কারে আবদ্ধ মানব অন্তরকে খোদা প্রেম ও আধ্যাত্মিক ফায়েজে পরিপূর্ন করেন। বাবা আলম নূরী আল সুরেশ্বরী বলেন, সামা তথা আধ্যাত্মিক সংঙ্গীত মনের পর্দা ও কালিমা দূর করে শ্রোতার মনে স্রষ্টার সাথে একাত্ম হতে বা ফানাফিল্লাতে পৌছাতে সাহায্য করে। বাবা আলম নূরী আল সুরেশ্বরী সুরেলা কন্ঠে মিলাদ শরীফ পেশের এক নতুন ধারার সৃষ্টি করেছেন। তিনি বিশেষ কিছু রাগরাগিনীর মিশ্রনে এক অপূর্ব সুর ধারা পরিবেশন করেন। যা কিনা সকল আশেক ভক্তদের হৃদয়স্পর্শী ভাব তৈরী করে তাদের আধ্যাত্মিক ধ্যান সাগরে মনিমুক্তা আহরনের মাধ্যমে ইসলামের প্রকৃত পথে অগ্রসর করে। আর রাসুলের প্রতি এই হৃদয়গ্রাহী মিলাদ কিয়াম দরুদ সালামের মাধ্যমে বাবা আলম নূরীর ভক্তরা নিজেদেরকে আহলে বাইয়াতের যোগ্য অনুসারীতে পরিনত করেছে।

সফর : পবিত্র কোরানে আল্লাহ বলেন “তোমরা যদি কোন বিষয়ে হতাশ হয়ে যাও তাহলে কবরবাসীদের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর” বা “ তোমারা অলিদের মৃত বলনা বরং তারা জীবিত”। উক্ত আয়াত গুলোর মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম কিভাবে অলি আউলিয়ারা জগতে উসিলা বা শেফা হিসাবে চিরঞ্জিব হয়ে আছে। আর তাদের রুহু তাদের রওজাতে বিদ্যমান বলে পবিত্র কোরানে স্বাক্ষ দিচ্ছে। জগতের শ্রেষ্ঠ অলি তথা আল্লাহর পেয়ারে বন্ধুদের সাথে রুহানী সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে বাবা আলম নূরী প্রতি বছর উপমহাদেশের বিভিন্ন দরবার জেয়ারতে বের হন। এই ধারাবাহিকতায় তিনি ভারত, বাংলাদেশ ও আরবের উল্ল্যেখ যোগ্য আউলিয়া কেরামদের রওজা মাজার জেয়ারত করে তাদের সাথে আধ্যাত্মিক ভাব ও ফায়েজ হাসিল করেন। বাবা আলম নূরীর ছায়াতলে থেকে এই সমস্ত জেয়ারতের মাধ্যমে ভক্ত মুরিদানরা আধ্যাত্মিক ফায়েজ রহমত বরকত তথা ইহপরকালীন সুখ শান্তি লাভ করে। খানকাহ প্রতিষ্ঠা : আল্লাহর জমিনে তাঁর প্রকৃত ইসলাম তথা ধন্মান্ধ গোড়া পন্থা হতে সরে আহলে বাইয়াত বা রাসুলের প্রকৃত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মানবতাবাদী ধারাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে অলি আউলিয়ারা খানকাহ্ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাবা আলম নূরী এই ধারাকে অব্যাহত রেখে পবিত্র সুরেশ্বরের মাটিতে সুরেশ্বরী নূরী জালালীয়া আস্তানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের অন্তর থেকে কালিমা দুর করে নূরে মোহাম্মদী তথা আধ্যাত্মিক আলো বালকে ইলমে লাদুনী বা ঐশি জ্ঞ্যান প্রতিষ্ঠার পাঠদানে অবিচল। সুরেশ্বরী বাবার অসীম কৃপায় বাবা আলম নুরী আল সুরেশ্বরী ঢাকার চকবাজারে “খানকায় সুরেশ্বরীয়া” প্রতিষ্ঠা করে প্রতি বাংলা মাসের ২৫ শা তারিখে তাঁর পিতা ও মোর্শেদ ক্বিবলার বেছাল হক্ব উপলক্ষে মাহ্ফিল করে থাকেন।প্রতি বৃহস্পতিবার বাবা আলম নূরী ক্বিবলা কা’বা সেখানে ভক্ত মুরিদানদের কে ইসলাম ও তাসাউফ এর উপর শিক্ষা প্রদান এবং বাবা সুরেশ্বরী ক্বিবলা কা’বার রচিত গ্রন্থসমূহ ব্যাখ্যা, ত্বরিকত তথা আধ্যাত্মিক বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি সারা দেশে অসংখ্য আস্তানা খানকাহ্ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ত্বরিকতের কার্য পরিচারনা করছেন। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ ভক্ত অনুসারী তাঁর রুহানী আধ্যাত্মিক ও জাহেরী জেয়ারত লাভ করে, তাঁর উসিলায় তথা কামেল মূর্শীদের ছায়াতলে থেকে যে বরকত পূর্ণময় ইহপরকালীন শান্তি ও সুখ লাভ করে জীবনকে ধন্য করছে তা অবিশ্বরনীয়। আর এ ভাবেই আহলে বাইয়াতের রেখে যাওয়া পবিত্র দায়িত্ব বাবা আলম নূরী আল সুরেশ্বরী পালন করে যাচ্ছেন। 


মানবজাতীর মুক্তির পথ তথা ত্বরিকার প্রচার ও প্রসারে তাঁর অমিও বানী “মুক্তির একই পথ – অলি আউলিয়ায় ত্বরিকৎ” প্রচারে তিনি সদাসর্বদা বলিকন্ঠ। তিনি বর্তমানে সাধারন মুসলমানদের পশ্চিমাপন্থী ওহাবী সাম্প্রদায়ের সূক্ষ বেড়াজাল থেকে বের করে ইসলামের সঠিক পথে তথা নবী-অলিদের পথে পরিচালনার জন্য দেশের অধিকাংশ দরগাহ্ মাজার ও আস্তানার প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে আশিক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তাঁর সভাপতিত্তে এ সংগঠন সাড়া দেশে বালকে উপমহাদেশে ব্যাপক ত্বরিকার কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের প্রায় পাঁচ হাজার দরগা মাজার খানকাহ নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান নবী আলিদের বিরুধী আকিদার সকল শত্রুদের বিরুদ্ধে আজ এক বলিষ্ঠ শক্তি। সকল দরগা মাজারের সুযোগ সুবিধা তাদের সমস্যা বিপদে তাদের পাশে আছেন থাকবেন। তাদের সমস্যা সমাধানে সভাপতি আলম নূরী আল সুরেশ্বরী সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯৯০ ইং সালের এরশাদ সরকার কতৃক প্রণীত দরগাহ্ বিরুধী কালা আইন বাতিলের আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখেন। এছাড়া দেশের দরগাহ্ মাজার বিরোধী মৌলবাদী শক্তি, দরগাহ্ মাজার সহ যত্রতত্র বোমা হামলার বিরুদ্ধে প্রকৃত ইসলামী শক্তি গুলোকে একত্রিত করে সভা সমাবেশ ও মিডিয়াতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাবা আলম নূরী ত্বরিকা প্রচারের পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। ঢাকা শহরের আজিমপুরে প্রখ্যাত ব্যবসায়ী হাজী মো: কায়সার সাহেবের জৈষ্ঠ কন্যা সালমা আক্তার এর সহিত বাবা আলম নূরী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহিত জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যার গর্বিত জনক। পূণ্য়ময় সন্তানদ্বয় পীরজাদা সাইয়েদ শাহ্ জাবলে নূর ওরফে অদিত শাহ্ এবং শাহাজাদী সাইয়েদা মনজীলা নূর ওরফে অফিয়া নূর।

মূর্শীদপ্রেমে লিখিত বাবা আলম নূরীর ভাব বিরহ :

কি করিব গুনগান কিবা জানি আর। 
শুনেছি দয়াল তুমি ভক্তের কান্ডার॥
দেখেছি তোমার ছবি কিতাব আদি যত। 
তাহাতেই তোমা পরে হই অবগত॥ 
জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী নামেতে আবার।
সুরেশ্বরে মিলিয়েছ ভাবের বাজার॥ 
পিতা সূফী মেহের উল্লাহ্ আলেম সরদার। 
শরিয়তে পূর্ণ শশী জগৎ মাঝার॥ 
সামসুল ওলামা তুমি ক্ষেতাবে প্রচার।
ত্বরিকত শরিয়ত হাক্কিকত, মারেফত আর॥
সাধিয়া মোকামে সব হইয়া কামেল। 
প্রকাশিলে কেতাব আদি ত্বরিকে আমল॥
মোকামে থাকিয়া তুমি ছরিওল আছর। 
সদাই মাসুক সনে করিলে গুজার॥
মোর্শেদ সূফী ফতে আলী মানিকতলা ধামে।
ডাকিল তোমায় সে আহাম্মদ আলী নামে॥ 
মোরাকেবা মোসাহেদা চিল্লাহ্ নামাজ।
হজ, যাকাত কদর রোজা ইসলামের মাঝ॥
করিয়া আদায় নিজে মুরিদের তরে।
কহিছ ভাবুক যেন শক্ত করে ধরে॥
কোরান হাদিস মাঝে যত প্রচারণা। 
নানা ভাবে কিতাবেতে কর প্রকাশনা॥
তাহাতে নাদান যত পাই মূল পথ।
মনের কুঠরি থেকে মুছে যায় বদ॥
কুতুবুল এরশাদ তুমি শাহ্ আহাম্মদ আলী।
তোমার ফায়েজে ভবে হল কত অলী॥
তোমার ভাবের বাণী কিতাব মাঝার। 
সাধিতে পারিলে তার জীবন গোলজার॥
খোদাই জানিতে যদি চাহে কোন জন।
তছনিফাত যত আছে করহ শ্রবণ॥
ভবের পাতকী মোরা জগতেতে যত।
হই খবরদার পাঠে সদা অবিরত॥
নূরেহক্ব গঞ্জেনূর ও ছফিনায়ে ছফর॥
লাতায়েফে শাফিয়া আর র্সিরেহক্ব জামেনূর॥
আইনাইন, মদিনা, মাতলাউ’ল উ’লূমে। 
তাহাতে খোদার ভেদ-একে একে পাবে॥
সাধিতে পারিনি বুঝি নিজে গুনাহ্গার। 
নিজ গুনে দয়া তব করিও কান্ডার॥
আমার গুনার বোঝা সাগর প্রবল।
তোমার দয়ার আশে মনে পাই বল॥

Loading